Description
“আল্লাহ তা’আলার ঘোষণা:
ادْعُ إِلِى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ
অর্থ: “আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ওই ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।” [সুরা নাহল ১৬:১২৫]
আল্লামা শাব্বির আহমদ উসমানী রহিমাহুল্লাহ এই আয়াতের তাফসীরে বলেন:
“এই আয়াতে স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, কীভাবে আল্লাহর পথে মানুষকে দাওয়াত দিতে হবে।”
এখানে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তিনটি পদ্ধতির কথা বলেছেন –
১. হেকমত
২. মাওয়ায়েযে হাসানা
৩. জিদালে হাসানা।
মানুষ সাধারণত বদলাতে চায় না। সে যেমন আছে, তেমনই থাকতে চায়। তাই কাউকে বদলানোর আহ্বান জানালে সে রাগ করে। আবার কেউ দূরে চলে যায়। এমনকী পরিবর্তনের আহ্বানের জন্য অন্তরঙ্গ বন্ধুর সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘটনাও ঘটে অহরহ। দাওয়াতের অর্থ—বদলে যাওয়ার আহ্বান জানানো। হয়তো বর্তমান অবস্থার আমূল পরিবর্তনের আহ্বান, নয়তো তার মানোন্নয়নের আহ্বান। এই হচ্ছে মূলকথা। দাওয়াতের এই সুমহান দায়িত্ব সবচেয়ে ভালোভাবে আঞ্জাম দিয়েছেন নবি-রাসূলগণ। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষগণ কীভাবে এই কঠিন কাজটি করেছেন, এই কাজ করতে গিয়ে তাঁরা কী কী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এবং কীভাবে তা থেকে উত্তরণের উপায় বের করেছেন—এ-ই নিয়ে বইটি। রাসূল ﷺ-এর মাধ্যমে নবুয়তের ধারা সমাপ্ত হলেও দাওয়াতের ধারা অব্যাহত থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত। বর্তমান যুগে কীভাবে আমরা তাঁদের দাওয়াতি পদ্ধতির আলোকে মানুষের নিকট আল্লাহর বাণী পৌঁছাতে পারি, তা জানতে পারব এই বইয়ের মাধ্যমে।”
Reviews
There are no reviews yet.