শেষ চিঠি by মাহিন মাহমুদ
৳ 140.00
উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্রের একটি হচ্ছে- ধার্মিক পরিবারের মেয়ে নওশিন। যার বাবা একটা সৎ উদ্দেশ্য সামনে রেখে মেয়েকে মেডিকেল কলেজে পড়াচ্ছেন। তিনি চান, মেয়ে সবসময় ধর্মীয় ধ্যান-ধারণায় বেড়ে উঠুক। কিন্তু মেয়ের পছন্দ পশ্চিমা-সংস্কতি। ধর্মভীরু মানুষদের ওর কাছে কেমন যেন সেকেলে ও অনাধুনিক মনে হয়। ওর ধারণা এরা নারীদের অধীকারবঞ্চিত করতে চায়। এটা তো নওশিনের ধারণা। কিন্তু আসলেই কি ধর্মবিশ্বাসী মানুষগুলো এমন। নাকি এর বিপরীত?
অন্য চরিত্রটি হচ্ছে- তরুণ আলেম লেখক আহসান । অপসংস্কৃতির বিপরীত স্রােতধারা তৈরির লক্ষ্যে সে অবিরাম লিখে যায়। যার লেখা থেকে পাঠকরা খুঁজে পায় আলোর দিকে এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা।
স্বনামধন্য এ লেখককেই পাত্র হিসেবে নওশিনের বাবা-মায়ের প্রথম পছন্দ। কিন্তু নওশিন? সে কি মেনে নেবে তাদের পছন্দ ও বিশ্বাস? তার নিজের পছন্দ-অপছন্দগুলোরই বা কী হবে তাহলে?
উপন্যাসটি এমনই কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করাবে পাঠকদের।…
Related products
-
-
ইসলামের সামাজিক রীতিনীতি
‘আজকাল মানুষ যিকির ও ওজিফাকে আসল মনে করছে, সমাজ-সামাজিকতাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করছে; অথচ এটি ধোঁকা ছাড়া কিছুই নয়।’
—হজরত আশরাফ আলী থানবি (রহ.)
.
দ্বীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি হচ্ছে সামাজিক রীতিনীতি। সমাজে কোথায় কখন কী করতে হয়, কীভাবে বলতে হয়, কার সাথে চলতে হয়, লেনদেনের আদবকেতা, ঘরের মানুষদের সাথে আদবকেতা, ইত্যাদি বিষয় এর অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমাদের আলোচনায় দ্বীনের অন্যান্য বিষয়গুলো এলেও কেন যেন এই বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষিত থাকে। ফলে ভাইয়ে ভাইয়ে শত্রুতা, পারস্পরিক হিংসা বিদ্বেষ, মুসলিমদের ভিতর ঝগড়া বিবাদ, স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ-বিচ্ছেদ সহ নানা ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আর এসব কিছুর মূলে দেখবেন, মানুষের পারস্পারিক আদবকেতা ঠিক নেই। এর অভাবেই পরস্পর মনোমালিন্য ও শত্রুতার সৃষ্টি হয়, যা ভালোবাসা ও সৌহার্দ-সম্প্রীতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
.
আত্মশুদ্ধির ময়দানে হজরত আশরাফ আলী থানবিকে ইমাম গণ্য করা হলেও তিনি ইসলামের সামাজিক রীতিনীতির প্রতি সবথেকে বেশি জোড় দিতেন। বলতেন, ‘জিকির-শোগলের প্রতি আমার দৃষ্টি ততটুকু নয়, সমাজ ও চরিত্র সংশোধনের প্রতি যতটা। কেননা এর সম্পর্ক অন্যের সঙ্গে।’ এই বিষয়ে মানুষ তাঁর কাছ থেকে উপকৃত হয়েছে। হজরতের সেসব ওয়ায নসিহত, লেখনী এবং মালফুজাত নিয়ে ‘ইসলামের সামাজিক রীতিনীতি’ গ্রন্থটি। সমাজের প্রতিটি স্তরে সালামের আদব থেকে শুরু করে বিদায়ের আদব পর্যন্ত মুআশারাতের খুঁটিনাটি প্রায় সবকিছুই এতে স্থান পেয়েছে।
-
লাভ ক্যান্ডি by জাফর বিপি
লাভ ক্যান্ডি বইটিতে কি কি রয়েছে সংক্ষেপে ২ মিনিটেই জেনে নিন।
প্রথম অধ্যায়ঃ পবিত্র রােমান্স ও ভালােবাসা
১। রচনাসমগ্রঃ কাগজে কলমে পবিত্র নির্মল প্রণয় আর পূর্ণতার বার্তা।
২| বকুল মালাঃ গল্পছলে সুন্নতি পরামর্শ আর। দুনিয়াবি মূর্খতার প্রহসন।
৩। গিফট বক্সঃ খুসসুটিতে ভরা কিছু মুহুর্ত।
৪। ভালােবাসার ব্যবচ্ছেদঃ দুনিয়াবি বন্ধু অনেক হয় তবে আখিরাতের কথা ভাবতে শেখানাে বন্ধুগুলাে রবের এক অপার নেয়ামত।
৫| লেডি অফিসারঃ ভালােবাসার মানুষের ভাগ কাউকে দেওয়া যায় না আর তার উছিলায় পাওয়া রবের নেয়ামত অমূল্য।
৬। জোয়ার ভাটাঃ একটা সম্পর্কে মিষ্টতার সাথে টক ঝাল আর কিছু তিতা ভাবও থাকবেই। তবে দিনশেষে ভালােবাসার মানুষটিকে ভালােবাসতে পারাই সার্থকতা।দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ অনুভবের গভীরতা
১। মাতৃত্বের নেশাঃ মা হওয়ার সুখ অকৃত্রিম, সবকিছুর বিনিময়ে হলেও এ সুখ পাওয়ার নেশা নারীত্বেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ।
২| মিয়া ভাইঃ চরম পর্যায়ের বাস্তবতার এক শব্দচিত্র। রব কার জন্য কাকে নির্ধারণ করে রেখেছেন তা কেবল তিনিই জানেন।তৃতীয় অধ্যায়ঃ দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতা
১| সরস চিঠিঃ শুধু নিজের না পাওয়া গুলাের কথা না ভেবে ভালােবাসার মানুষটার অবস্থানে নিজেকে কল্পনা করে তার ব্যর্থতার কারণ গুলােও চিন্তা করতে হয়।
২। ডিমান্ড এন্ড সাপ্লাইঃ সমাজকে কথায় কথায় কাঠগড়ায় দাড় না করিয়ে ব্যক্তিপর্যায় থেকেই পরিবর্তনের। সূচনা করতে হবে। কারণ সমাজ কোনাে আলাদা সত্তা নয়, আমাদের নিয়েই গঠিত। মুদ্রার এপিঠ ওপিঠঃ সংসার কেবল অর্থ খাদক না। সেখানে একে অপরের হক্ব আদায়ের বিষয়টি ও অপরিহার্য।চতুর্থ অধ্যায়ঃ ক্লিনিক্যাল পার্ট
১। পারিবারিক প্রেসক্রিপশন
* দ্বীন পালনে প্রতিকূল পরিবার পরিবেশকে অনুকূলে আনার জন্য ও কিছু ইসলামভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করতে হয়।২| পারিবারিক প্রেসক্রিপশন
* আধুনিকতার জোয়ারে গা ভাসাতে গিয়ে, নিজেকে ধ্বংসের বিষাক্ত জলে। হাবুডুবু খাচ্ছি আমরা তা নিজেরাও জানি না। আর ভােগবাদী সমাজ এই বিষের প্রতিক্রিয়াকে স্বীকার করতে তাে নারাজই তাকে উপরন্তু তাকে লুকাতে শত মিথ্যার মােড়কে সাজাতে ব্যস্ত তাদের ভয়ংকর বিষগুলােকে।আমি মনে করি প্রতিটি মানুষের এ বইটি পড়া উচিত। বিবাহিত হলে বইটি আপনাদের জন্য একটি প্রেসক্রিপশন আর অবিবাহিত হলে এই লাভ ক্যান্ডি বইটি আপনার জন্যে সাজেশন।
-
রিমেডি- একটি পারিবারিক মেডিসিন -জাফর বিপি
জাফর বিপির জনপ্রিয় দুটি বই—ইউটার্ন ও লাভ ক্যান্ডির পর পাঠকের হৃদয় আরও একবার আন্দোলিত করতে রিমেডি প্রস্তুত। আপনারা প্রস্তুত তো?‘রিমেডি’ পরিবার ও দাম্পত্যের জটিল ও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সব সমস্যার পারিবারিক, সামাজিক ও সাইকোলজিক্যালি দিকগুলো বিশ্লেষণপূর্বক এর যথাযথ সমাধান নিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে রচিত। যা প্রতিটি বিবাহিত দম্পতির জন্য জরুরি মেডিসিন ও অবিবাহিত যুবক-যুবতীদের জন্য অগ্রীম ভ্যাকসিন স্বরূপ।আমরা আশাবাদী, বইটি পারিবার ও দাম্পত্য জীবনের জরুরি দিকনির্দেশনামূলক একটি মাস্টারপিস বই হতে যাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ।‘রিমেডি’ সম্পর্কে আর বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না। পাঠকগন বইটি হাতে নিয়েই বাকিটা বলবে। -
বি জিনিয়াস উইথ মুহাম্মাদ ﷺ
ঊষর মরুর বুকে বেড়ে উঠা একজন ব্যক্তির পক্ষে কি গোটা বিশ্ব খোলনলচে বদলে দেওয়া সম্ভব? তাও আবার মাত্র তেইশ বছরের সংক্ষিপ্ত মিশনে? হ্যাঁ, অসামান্য যোগ্যতা আর ধীশক্তির গুণে এই অসাধ্যকেই সাধন করেছিলেন বিশ্বমানবতার নবি মুহাম্মাদ ﷺ। একাধারে তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূল, তুখোড় রাজনীতিবিদ, বীর যোদ্ধা, অন্তরঙ্গ বন্ধু এবং অনুপম ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
একজন মানুষের পক্ষে সকল দিক থেকে যতটা জিনিয়াস হওয়া সম্ভব, তার সবটুকুই নিজ চরিত্রে প্রতিফলিত করেছিলেন রাসূল ﷺ। জীবনের প্রত্যেক পরতে কীভাবে তিনি অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেলেন, তারই সুখপাঠ্য পর্যালোচনা হাজির করা হয়েছে এই বইটিতে। পাশাপাশি মুমিনের জন্য পেশ করা হয়েছে ওহির বিধান এবং নবিজির আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আলোকিত জীবন গড়ে তোলার পথনির্দেশিকা।
-
প্রোডাক্টিভ মুসলিম
মোহাম্মদ ফারিস একজন ইসলাম সম্পর্কে নিদারুণ জ্ঞান অর্জনকারী একজন পন্ডিত ব্যাক্তি। তিনি বিশ্বের অনেক দেশের ইসলামিক মোটিভেশনাল স্পিকার। তাঁর লেখা এই বইটি এক কথায় দূর্দান্ত এক লেখনী।প্রোডাক্টিভ মুসলিম বইটি এমন একটি বই, যেটা হচ্ছে আমাদের মুসলিমদের পথচলার এক রুল মডেল। যাঁরা সবসময় বলেন, আমাদের একমাত্র মোটিভেশন হচ্ছে কোরআন এবং হাদীস। আমরা অন্যান্য বই পড়তে আগ্রহী নই, তাঁদের জন্যই এই বইটি পারফেক্ট। কারণ এখানে লেখক ইসলাম, কোরআন এবং হাদীসের আলোকে প্রোডাক্টিভিটির বর্ণনা করেছেন। আমাদের আইডল হযরত মোহাম্মদ (স.) ছিলেন একজন প্রোডাক্টিভ পার্সন। সব মিলিয়ে মুসলিম হিসেবে আমাদের কীভাবে প্রোডাক্টিভ হতে হবে, এই ব্যাপারেই বইয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে প্রোডাক্টিভিটি কী, প্রোডাক্টিভিটি সম্পর্কে আমাদের কী কী ভ্রান্ত ধারণা এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। লেখক বলেছেন আমাদের সবসময় প্রোডাক্টিভ হতে হবে, আমাদের সময়ের কাজ সময়ের আগেই দ্রুত প্রোডাক্টিভিটির মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। প্রোডাক্টিভিটি সহজেই হচ্ছে মনোযোগ×শারিরীক সক্ষমতা×সময়।দ্বিতীয় অধ্যায়ে ইসলাম এবং প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা মুসলমান হিসেবে আমাদের একমাত্র কাজই হচ্ছে ইবাদত বন্দেগি করা, লেখক এখানে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আমাদের কাজ, অজুহাত, সময় নেই এসব বলা যাবে না। আমাদের সব কিছুকেই ইবাদতের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে, আমরা যেহেতু আল্লাহর হুকুমের দাস সেই হিসেবে আমাদের সমস্ত কর্মকান্ডই হতে হবে ইবাদত নির্ভর।তৃতীয় অধ্যায় স্পিরিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটি। অর্থাৎ আধ্যাত্মিকতা কীভাবে আমাদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ায় সেই হিসেবে, এখানে আমাদের দুনিয়া এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবন একসাথে সংযোগ রেখে কীভাবে চলা যায় সেই কথা বর্ণনা করেছেন। এজন্য কীভাবে আমরা এনার্জি সংগ্রহ করবো এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।চতুর্থ অধ্যায় ফিজিক্যাল প্রোডাক্টিভিটি। সবচেয়ে বড় যে অধ্যায়, যেখানে আমাদের ফিজিক্যাল ফিটনেশ, ডায়েট, নিউট্রিশন সবকিছু নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। কীভাবে ঘুমের মাধ্যমে আমরা একটি ফিটনেস লাইফ কাটাতে পারি, পাওয়ার ন্যাপের প্রয়োজনীয়তা, কম ঘুমালে কী হয়… ইত্যাদি আলোচনা ।তারপর আমাদের শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টি অর্জন, সপ্তাহে দুইদিন রোজা রাখার ফলে কীভাবে আমাদের দেহের ব্যালেন্স রাখা যায়, আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যভাস ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার সবই প্রোডাক্টিভিটির আওতায় এবং তা কীভাবে তা জানতে হলে বইটির এই অধ্যায় মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। ব্যায়াম বা জিম আমাদের জীবনে কতোটুকু দরকার এটাও ইসলাম কীভাবে করতে বলেছে, আমাদের অজুহাত এবং ব্যস্ততাকে তুড়ি মেরে সব ভেস্তে দিয়ে সময় বের করে দেখাবেন।আরও বাকী ৩টি অধ্যায়ে লেখক আলোচনা করেছেন, সোশ্যাল প্রোডাক্টিভিটি, গোল এবং ভিশনের সঙ্গে প্রোডাক্টিভিটির সম্পর্ক, প্রোডাক্টিভ অভ্যাস গঠন এবং ৮ম অধ্যায়ে রমজান এবং প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে আলোচনা করেছেন।কীভাবে রমজান মাসে শতভাগ প্রোডাক্টিভিটি অর্জন করা সম্ভব, রমজানের স্লিপ ম্যানেজম্যান্ট থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় খাদ্য পুষ্টি সবকিছুই এখানে আলোচনা করা হয়েছে, রয়েছে প্রয়োজনীয় রুটিন।সর্বশেষ অধ্যায়ে আছে, মৃত্যু পরবর্তী প্রোডাক্টিভিটি অর্জন। মৃত্যুর পর ৩টি মাধ্যমে আমাদের কবরে নেক আমল যাবে সেটা হলোঃ নেক আমল, দান সদকা, নেক সন্তান। এবং কীভাবে আমাদের দোয়া কবুল করানোর জন্য দোয়া করতে হয়, সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।বইটি সম্পর্কে বলতে গেলে এখানে সবচেয়ে বেশি কোরআন, হাদীস এবং ইসলামের আলোকোজ্জ্বল প্রোডাক্টিভিটির আলোচনা করা হয়েছে। আছে সাইন্টিফিক অনেক ব্যাখা বিশ্লেষণ, বিভিন্ন বড় বড় মোটিভশনাল বইয়েরও কয়েকটা লাইন এখানে উল্লেখ আছে। সবশেষে রয়েছে, বিরাট তথ্য সূত্র।সুতরাং, এই মাস থেকেই নিজেকে প্রোডাক্টিভ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে বইটি এখনই পড়া উচিত, পাশাপাশি বইটি সব ধর্মের মানুষেরই পড়া উচিত। বইয়ের যে আলোচনা করা হয়েছে, তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনেরই অংশমাত্র। -
মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম
লেখক : পিনাকী ভট্টাচার্য
[মুখবন্ধ]
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের দেশে একটা বয়ান হাজির আছে। সেই বয়ানে ইসলাম অনুপস্থিত। আমাদের বিশ্বাস করতে বাধ্য করা হয়েছে ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষিতে অপ্রাসঙ্গিক ছিল। ইসলামপন্থীরা মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী ছিল। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তৈরি প্রায় সকল চলচ্চিত্র এবং নাটকে ইসলামকে,ইসলামের পোষাক পরিচ্ছদকে দেখানো হয়েছে স্বাধীনতা বিরোধীদের লেবাস হিসেবে। ফলে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম ইসলাম এবং ইসলামপন্থীদের স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবেই ঠাহর করে আসছে। অন্যদিকে ইসলামপন্থীরাও এ বিষয়ে তেমন মাথা ঘামাননি। এ সুযোগে আমাদের সুশীল সমাজের জ্ঞানপাপীরা ইতিহাসকে বদল করেছেন ইচ্ছেমতো। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাঝে ইসলাম এবং ইসলামপন্থীদের সম্পর্কে খারাপ ধারণার জন্মদিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন। করে যাচ্ছেন উদ্ভট সব বয়ান।
পিনাকী ভট্টাচার্য রচিত “মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম” বইটি সে সকল সুশীলদের মুখে কুলুপ সেঁটে দিতে সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ।[বই বিশ্লেষণ]
‘মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম’ পিনাকী ভট্টাচার্য রচিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কিত একটি গবেষণাধর্মী বই। লেখক বইটিতে অত্যন্ত চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের সমাজে প্রচলিত ইতিহাসের পেছনের ইতিহাস। যে ইতিহাস আমাদের থেকে লুকানো হয়েছে।উক্ত বইয়ে লেখক অত্যন্ত নিপুণতার সাথে দলিল,প্রমাণ দ্বারা মুক্তিযুদ্ধে ইসলাম এবং ইসলামপন্থীদের অবদানকে সাব্যস্ত করে দেখিয়েছেন।
বইটির বিভিন্ন অধ্যায়ে লেখক আলোচনা করেছেন তৎকালীন সময়ে এ অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন ‘আওয়ামী লীগ’ এর কর্মকান্ডের সাথে ইসলাম কিভাবে জড়িত ছিল। তাথাকথিত রাজাকার,আলবদরদের পোষাক পরিচ্ছদ কেমন ছিল। মুক্তিযুদ্ধ কালীন বাংলাদেশ সহ উপমহাদেশের ওলামাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাদের অবদান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে।
বইটিতে লেখক অনেক প্রামাণিক আলোকচিত্র এবং রেফারেন্স যুক্ত করেছেন যা বইটিকে অনেক শক্তিশালী করেছে।[পাঠক অভিমত]
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ইসলাম এবং ইসলামপন্থীদের অবদান নিয়ে তেমন কোন বই নেই বললেই চলে। তথাকথিত সুশীল বুদ্ধিজীবিদের বিকৃত এবং ইসলাম বিদ্বেষী লেখনীর ভীড়ে সাধারণ দেশপ্রেমী ধার্মিক পাঠকেরা কেমন যেন একটা শূণ্যতা অনুভব করত। তাদের সেই শূণ্যতা একটু হলেও পূর্ণ করেছে এই বইটি।