শেষ চিঠি by মাহিন মাহমুদ
৳ 140.00
উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্রের একটি হচ্ছে- ধার্মিক পরিবারের মেয়ে নওশিন। যার বাবা একটা সৎ উদ্দেশ্য সামনে রেখে মেয়েকে মেডিকেল কলেজে পড়াচ্ছেন। তিনি চান, মেয়ে সবসময় ধর্মীয় ধ্যান-ধারণায় বেড়ে উঠুক। কিন্তু মেয়ের পছন্দ পশ্চিমা-সংস্কতি। ধর্মভীরু মানুষদের ওর কাছে কেমন যেন সেকেলে ও অনাধুনিক মনে হয়। ওর ধারণা এরা নারীদের অধীকারবঞ্চিত করতে চায়। এটা তো নওশিনের ধারণা। কিন্তু আসলেই কি ধর্মবিশ্বাসী মানুষগুলো এমন। নাকি এর বিপরীত?
অন্য চরিত্রটি হচ্ছে- তরুণ আলেম লেখক আহসান । অপসংস্কৃতির বিপরীত স্রােতধারা তৈরির লক্ষ্যে সে অবিরাম লিখে যায়। যার লেখা থেকে পাঠকরা খুঁজে পায় আলোর দিকে এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা।
স্বনামধন্য এ লেখককেই পাত্র হিসেবে নওশিনের বাবা-মায়ের প্রথম পছন্দ। কিন্তু নওশিন? সে কি মেনে নেবে তাদের পছন্দ ও বিশ্বাস? তার নিজের পছন্দ-অপছন্দগুলোরই বা কী হবে তাহলে?
উপন্যাসটি এমনই কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করাবে পাঠকদের।…
Related products
-
বি স্মার্ট উইথ মোহাম্মদ (সঃ)
– বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদলেখা – ড. হিশাম আল-আওয়াদি| অনুবাদ – মাসুদ শরীফ |.হযরত মুহাম্মাদ (স:) ছিলেন আমাদের সর্বশেষ নবী।আমরা হচ্ছি সেই শেষ নবীর উম্মত।মুহাম্মাদ (স:) এর উম্মত হিসাবে নবীর জীবনকাহিনী,জীবনবৃত্তান্ত সবার ই জানা।ছোট বেলার বাবা-মা,দাদা-নানাদের থেকে শুরু করে, পাশের মসজিদ থেকে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল থেকে আমরা যতটুকু সম্ভব নবীর আদর্শ আর অনুপ্রেরণার কথা শুনেছি জেনেছি।আমি আজকে যেই বইটির ব্যাপারে কথা বলবো ‘বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ’।বইটি লিখেছেন আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব কুয়েতের প্রফেসর ড. হিশাম আল-আওয়াদি।যা অনুবাদ করেছেন : মাসুদ শরীফ।পড়ছেন ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে।.‘বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ’ বইটি আমাদের মহানবী (স:) এর জীবনকাহিনী জীবনাদর্শ কে এত নিখুঁত ভাবে উপস্থাপন করেছে যা বইটির পাঠক হিসাবে আমি অনুধাবন করতে পারি।একজন মুসলিম হিসাবে আমরা যখন-ই রাসূলের জীবন সম্পর্কে ধারনা নিতে চাই তখন-ই শুনি বিভিন্ন ওয়াজ-নসীয়ত।রাসূল কে নিয়ে আরো অনেক বই এই প্রেক্ষাপটে বের হয়েছে।কিন্তু এই বইটি একমাত্র বই যেখানে একদম সহজ ভাবেই সাধারণ ভাবেই নবী মুহাম্মাদ (স:) কে জানিয়েছেন।বইটি ড. হিশাম আল-আওয়াদির লিখার মূল কারন হিসাবে তিনি বলেছেন “আমাদের বর্তমান সময়ের শিশু-কিশোরেরা নবীকে এমন ভাবে কখনো ভাবে যে আমাদের নবী একসময় শিশু ছিলেন,কিশোর ছিলেন,যুবক এবং বৃদ্ধ ছিলেন।তিনি আমাদের মতই খেলা-ধুলা করতে,হাসতেন-ঘুরতেন।”.এই বিষয়টা মাথায় রেখেই আসোলে এই বইটি আমি পছন্দ করি।আমরা রাসুলুল্লাহ (স:) সম্পর্কে যা জানি তার চেয়ে হাজার গুন বেশি এই বইয়ে জানানো হয়েছে।নবী মুহাম্মাদ (স:) এর শিশু-কিশোর,এবং নবুয়ত এর আগের পুরো বিশ্লেষন এই বইটিতে দেয়া হয়েছে।আশা করি নিখুঁত ভাবে এইখান থেকে সবাই জানতে পারবেন।.এছাড়াও বইটির অন্যতম বিশেষত্ব হচ্ছে আমাদের যুবক সময়ের সমস্যা-সমাধান গুলোর পার্ফেক্ট সলিউশন এবং মোটিভেশন এর জন্যে বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ’ বইটিতে নবী’র জীবনের কিশোর এবং যুবক সময়ে তিনি কিভাবে সময় কাটিয়েছেন।কোনো সমস্যা গুলোকে কিভাবে সমাধান করেছেন তা দেখতে পাবেন।.আমরা যারা ভেংগে পড়া যুবসমাজ আছি আমরা চাইলেই মুহাম্মদ (স:) এর অনুপ্রাণিত পথের অনুসরণ করলেই হয়ত আরো ভালো ভাবে থাকতে পারবো। হয়ত আমরা পুরোপুরিভাবে পারবোনা কেননা নবী ছিলেন মহান আল্লাহতালা’র বন্ধু।কিন্তু নবীর উম্মত হিসাবে নবীর দেখানো পথ আমাদের জন্যে সুষ্ট এবং সুন্দর।.অন্যতম কিছু বিষয় আছে বইটির মধ্যে আমরা নবীর পরিবার,বন্ধুবান্ধব এছাড়াও সেই সময়ের নবীর জীবনকাঠামো নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন মত পোষন করি তাই আশাকরি এই বইটি সেই বিষয় গুলোকে তুলে ধরবে।.আজকাল প্রায় সময় ফেইসবুকের বিভিন্ন পেইজ/প্রোফাইলে অনেক সময় দেখা যায় কোনো সোর্স/রেফারেন্স ছাড়াই মুহাম্মাদ (স:) এর হাদীস বলে বিভিন্ন লেখা ছাপিয়ে দেন,এবং আমরা তা শেয়ার করতে থাকি।কাজটা ঠিক নয়।সঠিক হাদীস পূর্ণ ভাবে বিচার করে মানুষের কাছে পৌছানো প্রয়োজন।.‘বই পড়ুন,বই মানুষকে উজ্জীবিত করে মানুষের মত মানুষ হতে’ -
আহ্বান – আধুনিক মননে আলোর পরশ
দয়াময় রব গোটা সৃষ্টিজগৎকে সাজিয়েছেন অপরূপ নৈপুণ্যে, সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছেন অনুপম কারুকার্যের হাজারো নিদর্শন। কত বদল আর বৈচিত্র্যে ঠাসা এ চরাচর! যেন প্রভুর পরম আসমানি স্পর্শ লেগে আছে প্রতিটি কোণে। একেক সৃষ্টিকে তৈরি করেছেন একেক ব্যঞ্জনায়। এজন্যই তো অহংকার তাঁর আপন চাদর। আমাদের যত প্রার্থনা ও স্তুতি —সকলই কেবল তাঁকে ঘিরে। তিনিই মানুষকে পাঠিয়েছেন জোড়ায় জোড়ায়; একে অন্যের ভূষণরূপে। আমাদের সমৃদ্ধ করেছেন উত্তম রিজিকে, প্রখর মেধা আর তারুণ্যের প্রাণোচ্ছল চঞ্চলতায়। ভরসার ছায়া আর অবারিত অনুগ্রহে আগলে রেখেছেন তামাম কুল-কায়েনাত।
এসবরই স্বচ্ছন্দ ও সুখপাঠ্য পর্যালোচনা হাজির করেছেন বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় দাঈ শাইখ মিজানুর রহমান আজহারি। সেইসঙ্গে তরুণ প্রজন্মের সামনে পেশ করেছেন সুস্থ-সুন্দর, সময়োপযোগী ও ঈমানদীপ্ত জীবনের নববি চালচিত্র। সময়ের সবুজ সওয়ারিদের আহ্বান করেছেন গৌরবময় সত্যের পথে। -
লাভ ক্যান্ডি by জাফর বিপি
লাভ ক্যান্ডি বইটিতে কি কি রয়েছে সংক্ষেপে ২ মিনিটেই জেনে নিন।
প্রথম অধ্যায়ঃ পবিত্র রােমান্স ও ভালােবাসা
১। রচনাসমগ্রঃ কাগজে কলমে পবিত্র নির্মল প্রণয় আর পূর্ণতার বার্তা।
২| বকুল মালাঃ গল্পছলে সুন্নতি পরামর্শ আর। দুনিয়াবি মূর্খতার প্রহসন।
৩। গিফট বক্সঃ খুসসুটিতে ভরা কিছু মুহুর্ত।
৪। ভালােবাসার ব্যবচ্ছেদঃ দুনিয়াবি বন্ধু অনেক হয় তবে আখিরাতের কথা ভাবতে শেখানাে বন্ধুগুলাে রবের এক অপার নেয়ামত।
৫| লেডি অফিসারঃ ভালােবাসার মানুষের ভাগ কাউকে দেওয়া যায় না আর তার উছিলায় পাওয়া রবের নেয়ামত অমূল্য।
৬। জোয়ার ভাটাঃ একটা সম্পর্কে মিষ্টতার সাথে টক ঝাল আর কিছু তিতা ভাবও থাকবেই। তবে দিনশেষে ভালােবাসার মানুষটিকে ভালােবাসতে পারাই সার্থকতা।দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ অনুভবের গভীরতা
১। মাতৃত্বের নেশাঃ মা হওয়ার সুখ অকৃত্রিম, সবকিছুর বিনিময়ে হলেও এ সুখ পাওয়ার নেশা নারীত্বেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ।
২| মিয়া ভাইঃ চরম পর্যায়ের বাস্তবতার এক শব্দচিত্র। রব কার জন্য কাকে নির্ধারণ করে রেখেছেন তা কেবল তিনিই জানেন।তৃতীয় অধ্যায়ঃ দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতা
১| সরস চিঠিঃ শুধু নিজের না পাওয়া গুলাের কথা না ভেবে ভালােবাসার মানুষটার অবস্থানে নিজেকে কল্পনা করে তার ব্যর্থতার কারণ গুলােও চিন্তা করতে হয়।
২। ডিমান্ড এন্ড সাপ্লাইঃ সমাজকে কথায় কথায় কাঠগড়ায় দাড় না করিয়ে ব্যক্তিপর্যায় থেকেই পরিবর্তনের। সূচনা করতে হবে। কারণ সমাজ কোনাে আলাদা সত্তা নয়, আমাদের নিয়েই গঠিত। মুদ্রার এপিঠ ওপিঠঃ সংসার কেবল অর্থ খাদক না। সেখানে একে অপরের হক্ব আদায়ের বিষয়টি ও অপরিহার্য।চতুর্থ অধ্যায়ঃ ক্লিনিক্যাল পার্ট
১। পারিবারিক প্রেসক্রিপশন
* দ্বীন পালনে প্রতিকূল পরিবার পরিবেশকে অনুকূলে আনার জন্য ও কিছু ইসলামভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করতে হয়।২| পারিবারিক প্রেসক্রিপশন
* আধুনিকতার জোয়ারে গা ভাসাতে গিয়ে, নিজেকে ধ্বংসের বিষাক্ত জলে। হাবুডুবু খাচ্ছি আমরা তা নিজেরাও জানি না। আর ভােগবাদী সমাজ এই বিষের প্রতিক্রিয়াকে স্বীকার করতে তাে নারাজই তাকে উপরন্তু তাকে লুকাতে শত মিথ্যার মােড়কে সাজাতে ব্যস্ত তাদের ভয়ংকর বিষগুলােকে।আমি মনে করি প্রতিটি মানুষের এ বইটি পড়া উচিত। বিবাহিত হলে বইটি আপনাদের জন্য একটি প্রেসক্রিপশন আর অবিবাহিত হলে এই লাভ ক্যান্ডি বইটি আপনার জন্যে সাজেশন।
-
Americay undergrad e Scholarship by (Mamoon Rashid, PhD)
কিছু বই আছে যার সংক্ষিপ্ত বিবরণ লেখা দুষ্কর। এসব বই এতো বেশি তথ্যবহুল হয় যে, সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে কিছুই তুলে ধরা যায় না। তবুও সামান্য প্রচেষ্টা করছি।আগেই বলে নিই, বইটা আন্ডারগ্র্যাড এ ইচ্ছুক স্টুডেন্টদের দিকনির্দেশনার জন্য হলেও এখানের প্রচুর তথ্য হায়ার লেভেল স্টুডেন্টদের অনেক কনফিউশন দূর করতে সক্ষম।>এখানে প্রতিটি স্টেটের কলেজের ধারণা ও বাংলাদেশের সাপেক্ষে তার পর্যালোচনা পাবেন। এতে আমেরিকার পড়ালেখার কনসেপ্ট সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে ওয়াকিবহাল হওয়া যাবে।>স্কলারশিপ পেতে আপনার প্রোফাইল কেমন হওয়া লাগবে বা প্রোফাইল ভ্যালু বাড়ানোর সকল তথ্য পাওয়া যাবে।>পড়ালেখার খরচ কেমন তার পরিস্কার ধারণা পাবেন।>একাডেমিক প্রস্তুতি, এক্সট্রা কারিকুলার প্রস্তুতি, স্কলারশীপের ধরণ, ফিনানশিয়াল এইড ইত্যাদি সম্পর্কে স্বচ্ছ জ্ঞান।>ইয়ার গ্যাপকে কাজে লাগানো, রেকমেন্ডেশন সংগ্রহ, রিসার্চ ট্রেনিং, সিভি তৈরি ইত্যাদি সম্পর্কে সবকিছু জানা যাবে বইটি থেকে।>এসএটি ও ল্যাংগুয়েজ টেস্ট এবং এর প্রস্তুতি, আইডেনটিটি প্রস্তুতি, ফিনানশিয়াল সক্ষমতা, পরীক্ষার ভেন্যু, স্কোর, স্কোর সাবমিট করা, ব্যাকগ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি সকল কিছুর তথ্য ও দিকনির্দেশনা বইতে পেয়ে যাবেন।> আমেরিকায় যাবার পর দরকারী ডকুমেন্টস, স্পন্সর একাউন্ট, টাকা লেনদেন, সেল্ফ ফান্ড, আই-২০ সংগ্রহ, ভিসার ডকুমেন্ট ইত্যাদি আরো হাজারো দরকারী তথ্য বইতে আছে।লেখা দীর্ঘ না করে বলি, উপরের সকল তথ্যের চেয়েও অনেক গুণ বেশি তথ্য বইতে ঠেসে ঢোকানো হয়েছে। সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখার সপ্নে বিভোর প্রতিটি দায়িত্ববান বাবা-মা, সচেতন স্টুডেন্ট, ক্যারিয়ার সম্পর্কে সচেতন প্রতিটি পারসনের জন্য এই ছোট বইটি পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচিত হবার মতো যোগ্যতা রাখে। -
-
প্রোডাক্টিভ মুসলিম
মোহাম্মদ ফারিস একজন ইসলাম সম্পর্কে নিদারুণ জ্ঞান অর্জনকারী একজন পন্ডিত ব্যাক্তি। তিনি বিশ্বের অনেক দেশের ইসলামিক মোটিভেশনাল স্পিকার। তাঁর লেখা এই বইটি এক কথায় দূর্দান্ত এক লেখনী।প্রোডাক্টিভ মুসলিম বইটি এমন একটি বই, যেটা হচ্ছে আমাদের মুসলিমদের পথচলার এক রুল মডেল। যাঁরা সবসময় বলেন, আমাদের একমাত্র মোটিভেশন হচ্ছে কোরআন এবং হাদীস। আমরা অন্যান্য বই পড়তে আগ্রহী নই, তাঁদের জন্যই এই বইটি পারফেক্ট। কারণ এখানে লেখক ইসলাম, কোরআন এবং হাদীসের আলোকে প্রোডাক্টিভিটির বর্ণনা করেছেন। আমাদের আইডল হযরত মোহাম্মদ (স.) ছিলেন একজন প্রোডাক্টিভ পার্সন। সব মিলিয়ে মুসলিম হিসেবে আমাদের কীভাবে প্রোডাক্টিভ হতে হবে, এই ব্যাপারেই বইয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে প্রোডাক্টিভিটি কী, প্রোডাক্টিভিটি সম্পর্কে আমাদের কী কী ভ্রান্ত ধারণা এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। লেখক বলেছেন আমাদের সবসময় প্রোডাক্টিভ হতে হবে, আমাদের সময়ের কাজ সময়ের আগেই দ্রুত প্রোডাক্টিভিটির মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। প্রোডাক্টিভিটি সহজেই হচ্ছে মনোযোগ×শারিরীক সক্ষমতা×সময়।দ্বিতীয় অধ্যায়ে ইসলাম এবং প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা মুসলমান হিসেবে আমাদের একমাত্র কাজই হচ্ছে ইবাদত বন্দেগি করা, লেখক এখানে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আমাদের কাজ, অজুহাত, সময় নেই এসব বলা যাবে না। আমাদের সব কিছুকেই ইবাদতের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে, আমরা যেহেতু আল্লাহর হুকুমের দাস সেই হিসেবে আমাদের সমস্ত কর্মকান্ডই হতে হবে ইবাদত নির্ভর।তৃতীয় অধ্যায় স্পিরিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটি। অর্থাৎ আধ্যাত্মিকতা কীভাবে আমাদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ায় সেই হিসেবে, এখানে আমাদের দুনিয়া এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবন একসাথে সংযোগ রেখে কীভাবে চলা যায় সেই কথা বর্ণনা করেছেন। এজন্য কীভাবে আমরা এনার্জি সংগ্রহ করবো এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।চতুর্থ অধ্যায় ফিজিক্যাল প্রোডাক্টিভিটি। সবচেয়ে বড় যে অধ্যায়, যেখানে আমাদের ফিজিক্যাল ফিটনেশ, ডায়েট, নিউট্রিশন সবকিছু নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। কীভাবে ঘুমের মাধ্যমে আমরা একটি ফিটনেস লাইফ কাটাতে পারি, পাওয়ার ন্যাপের প্রয়োজনীয়তা, কম ঘুমালে কী হয়… ইত্যাদি আলোচনা ।তারপর আমাদের শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টি অর্জন, সপ্তাহে দুইদিন রোজা রাখার ফলে কীভাবে আমাদের দেহের ব্যালেন্স রাখা যায়, আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যভাস ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার সবই প্রোডাক্টিভিটির আওতায় এবং তা কীভাবে তা জানতে হলে বইটির এই অধ্যায় মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। ব্যায়াম বা জিম আমাদের জীবনে কতোটুকু দরকার এটাও ইসলাম কীভাবে করতে বলেছে, আমাদের অজুহাত এবং ব্যস্ততাকে তুড়ি মেরে সব ভেস্তে দিয়ে সময় বের করে দেখাবেন।আরও বাকী ৩টি অধ্যায়ে লেখক আলোচনা করেছেন, সোশ্যাল প্রোডাক্টিভিটি, গোল এবং ভিশনের সঙ্গে প্রোডাক্টিভিটির সম্পর্ক, প্রোডাক্টিভ অভ্যাস গঠন এবং ৮ম অধ্যায়ে রমজান এবং প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে আলোচনা করেছেন।কীভাবে রমজান মাসে শতভাগ প্রোডাক্টিভিটি অর্জন করা সম্ভব, রমজানের স্লিপ ম্যানেজম্যান্ট থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় খাদ্য পুষ্টি সবকিছুই এখানে আলোচনা করা হয়েছে, রয়েছে প্রয়োজনীয় রুটিন।সর্বশেষ অধ্যায়ে আছে, মৃত্যু পরবর্তী প্রোডাক্টিভিটি অর্জন। মৃত্যুর পর ৩টি মাধ্যমে আমাদের কবরে নেক আমল যাবে সেটা হলোঃ নেক আমল, দান সদকা, নেক সন্তান। এবং কীভাবে আমাদের দোয়া কবুল করানোর জন্য দোয়া করতে হয়, সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।বইটি সম্পর্কে বলতে গেলে এখানে সবচেয়ে বেশি কোরআন, হাদীস এবং ইসলামের আলোকোজ্জ্বল প্রোডাক্টিভিটির আলোচনা করা হয়েছে। আছে সাইন্টিফিক অনেক ব্যাখা বিশ্লেষণ, বিভিন্ন বড় বড় মোটিভশনাল বইয়েরও কয়েকটা লাইন এখানে উল্লেখ আছে। সবশেষে রয়েছে, বিরাট তথ্য সূত্র।সুতরাং, এই মাস থেকেই নিজেকে প্রোডাক্টিভ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে বইটি এখনই পড়া উচিত, পাশাপাশি বইটি সব ধর্মের মানুষেরই পড়া উচিত। বইয়ের যে আলোচনা করা হয়েছে, তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনেরই অংশমাত্র। -
ইসলামের সামাজিক রীতিনীতি
‘আজকাল মানুষ যিকির ও ওজিফাকে আসল মনে করছে, সমাজ-সামাজিকতাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করছে; অথচ এটি ধোঁকা ছাড়া কিছুই নয়।’
—হজরত আশরাফ আলী থানবি (রহ.)
.
দ্বীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি হচ্ছে সামাজিক রীতিনীতি। সমাজে কোথায় কখন কী করতে হয়, কীভাবে বলতে হয়, কার সাথে চলতে হয়, লেনদেনের আদবকেতা, ঘরের মানুষদের সাথে আদবকেতা, ইত্যাদি বিষয় এর অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমাদের আলোচনায় দ্বীনের অন্যান্য বিষয়গুলো এলেও কেন যেন এই বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষিত থাকে। ফলে ভাইয়ে ভাইয়ে শত্রুতা, পারস্পরিক হিংসা বিদ্বেষ, মুসলিমদের ভিতর ঝগড়া বিবাদ, স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ-বিচ্ছেদ সহ নানা ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আর এসব কিছুর মূলে দেখবেন, মানুষের পারস্পারিক আদবকেতা ঠিক নেই। এর অভাবেই পরস্পর মনোমালিন্য ও শত্রুতার সৃষ্টি হয়, যা ভালোবাসা ও সৌহার্দ-সম্প্রীতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
.
আত্মশুদ্ধির ময়দানে হজরত আশরাফ আলী থানবিকে ইমাম গণ্য করা হলেও তিনি ইসলামের সামাজিক রীতিনীতির প্রতি সবথেকে বেশি জোড় দিতেন। বলতেন, ‘জিকির-শোগলের প্রতি আমার দৃষ্টি ততটুকু নয়, সমাজ ও চরিত্র সংশোধনের প্রতি যতটা। কেননা এর সম্পর্ক অন্যের সঙ্গে।’ এই বিষয়ে মানুষ তাঁর কাছ থেকে উপকৃত হয়েছে। হজরতের সেসব ওয়ায নসিহত, লেখনী এবং মালফুজাত নিয়ে ‘ইসলামের সামাজিক রীতিনীতি’ গ্রন্থটি। সমাজের প্রতিটি স্তরে সালামের আদব থেকে শুরু করে বিদায়ের আদব পর্যন্ত মুআশারাতের খুঁটিনাটি প্রায় সবকিছুই এতে স্থান পেয়েছে।