রিমেডি- একটি পারিবারিক মেডিসিন -জাফর বিপি
৳ 180.00
Related products
-
লাভ ক্যান্ডি by জাফর বিপি
লাভ ক্যান্ডি বইটিতে কি কি রয়েছে সংক্ষেপে ২ মিনিটেই জেনে নিন।
প্রথম অধ্যায়ঃ পবিত্র রােমান্স ও ভালােবাসা
১। রচনাসমগ্রঃ কাগজে কলমে পবিত্র নির্মল প্রণয় আর পূর্ণতার বার্তা।
২| বকুল মালাঃ গল্পছলে সুন্নতি পরামর্শ আর। দুনিয়াবি মূর্খতার প্রহসন।
৩। গিফট বক্সঃ খুসসুটিতে ভরা কিছু মুহুর্ত।
৪। ভালােবাসার ব্যবচ্ছেদঃ দুনিয়াবি বন্ধু অনেক হয় তবে আখিরাতের কথা ভাবতে শেখানাে বন্ধুগুলাে রবের এক অপার নেয়ামত।
৫| লেডি অফিসারঃ ভালােবাসার মানুষের ভাগ কাউকে দেওয়া যায় না আর তার উছিলায় পাওয়া রবের নেয়ামত অমূল্য।
৬। জোয়ার ভাটাঃ একটা সম্পর্কে মিষ্টতার সাথে টক ঝাল আর কিছু তিতা ভাবও থাকবেই। তবে দিনশেষে ভালােবাসার মানুষটিকে ভালােবাসতে পারাই সার্থকতা।দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ অনুভবের গভীরতা
১। মাতৃত্বের নেশাঃ মা হওয়ার সুখ অকৃত্রিম, সবকিছুর বিনিময়ে হলেও এ সুখ পাওয়ার নেশা নারীত্বেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ।
২| মিয়া ভাইঃ চরম পর্যায়ের বাস্তবতার এক শব্দচিত্র। রব কার জন্য কাকে নির্ধারণ করে রেখেছেন তা কেবল তিনিই জানেন।তৃতীয় অধ্যায়ঃ দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতা
১| সরস চিঠিঃ শুধু নিজের না পাওয়া গুলাের কথা না ভেবে ভালােবাসার মানুষটার অবস্থানে নিজেকে কল্পনা করে তার ব্যর্থতার কারণ গুলােও চিন্তা করতে হয়।
২। ডিমান্ড এন্ড সাপ্লাইঃ সমাজকে কথায় কথায় কাঠগড়ায় দাড় না করিয়ে ব্যক্তিপর্যায় থেকেই পরিবর্তনের। সূচনা করতে হবে। কারণ সমাজ কোনাে আলাদা সত্তা নয়, আমাদের নিয়েই গঠিত। মুদ্রার এপিঠ ওপিঠঃ সংসার কেবল অর্থ খাদক না। সেখানে একে অপরের হক্ব আদায়ের বিষয়টি ও অপরিহার্য।চতুর্থ অধ্যায়ঃ ক্লিনিক্যাল পার্ট
১। পারিবারিক প্রেসক্রিপশন
* দ্বীন পালনে প্রতিকূল পরিবার পরিবেশকে অনুকূলে আনার জন্য ও কিছু ইসলামভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করতে হয়।২| পারিবারিক প্রেসক্রিপশন
* আধুনিকতার জোয়ারে গা ভাসাতে গিয়ে, নিজেকে ধ্বংসের বিষাক্ত জলে। হাবুডুবু খাচ্ছি আমরা তা নিজেরাও জানি না। আর ভােগবাদী সমাজ এই বিষের প্রতিক্রিয়াকে স্বীকার করতে তাে নারাজই তাকে উপরন্তু তাকে লুকাতে শত মিথ্যার মােড়কে সাজাতে ব্যস্ত তাদের ভয়ংকর বিষগুলােকে।আমি মনে করি প্রতিটি মানুষের এ বইটি পড়া উচিত। বিবাহিত হলে বইটি আপনাদের জন্য একটি প্রেসক্রিপশন আর অবিবাহিত হলে এই লাভ ক্যান্ডি বইটি আপনার জন্যে সাজেশন।
-
বি জিনিয়াস উইথ মুহাম্মাদ ﷺ
ঊষর মরুর বুকে বেড়ে উঠা একজন ব্যক্তির পক্ষে কি গোটা বিশ্ব খোলনলচে বদলে দেওয়া সম্ভব? তাও আবার মাত্র তেইশ বছরের সংক্ষিপ্ত মিশনে? হ্যাঁ, অসামান্য যোগ্যতা আর ধীশক্তির গুণে এই অসাধ্যকেই সাধন করেছিলেন বিশ্বমানবতার নবি মুহাম্মাদ ﷺ। একাধারে তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূল, তুখোড় রাজনীতিবিদ, বীর যোদ্ধা, অন্তরঙ্গ বন্ধু এবং অনুপম ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
একজন মানুষের পক্ষে সকল দিক থেকে যতটা জিনিয়াস হওয়া সম্ভব, তার সবটুকুই নিজ চরিত্রে প্রতিফলিত করেছিলেন রাসূল ﷺ। জীবনের প্রত্যেক পরতে কীভাবে তিনি অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেলেন, তারই সুখপাঠ্য পর্যালোচনা হাজির করা হয়েছে এই বইটিতে। পাশাপাশি মুমিনের জন্য পেশ করা হয়েছে ওহির বিধান এবং নবিজির আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আলোকিত জীবন গড়ে তোলার পথনির্দেশিকা।
-
প্রোডাক্টিভ মুসলিম
মোহাম্মদ ফারিস একজন ইসলাম সম্পর্কে নিদারুণ জ্ঞান অর্জনকারী একজন পন্ডিত ব্যাক্তি। তিনি বিশ্বের অনেক দেশের ইসলামিক মোটিভেশনাল স্পিকার। তাঁর লেখা এই বইটি এক কথায় দূর্দান্ত এক লেখনী।প্রোডাক্টিভ মুসলিম বইটি এমন একটি বই, যেটা হচ্ছে আমাদের মুসলিমদের পথচলার এক রুল মডেল। যাঁরা সবসময় বলেন, আমাদের একমাত্র মোটিভেশন হচ্ছে কোরআন এবং হাদীস। আমরা অন্যান্য বই পড়তে আগ্রহী নই, তাঁদের জন্যই এই বইটি পারফেক্ট। কারণ এখানে লেখক ইসলাম, কোরআন এবং হাদীসের আলোকে প্রোডাক্টিভিটির বর্ণনা করেছেন। আমাদের আইডল হযরত মোহাম্মদ (স.) ছিলেন একজন প্রোডাক্টিভ পার্সন। সব মিলিয়ে মুসলিম হিসেবে আমাদের কীভাবে প্রোডাক্টিভ হতে হবে, এই ব্যাপারেই বইয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে প্রোডাক্টিভিটি কী, প্রোডাক্টিভিটি সম্পর্কে আমাদের কী কী ভ্রান্ত ধারণা এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। লেখক বলেছেন আমাদের সবসময় প্রোডাক্টিভ হতে হবে, আমাদের সময়ের কাজ সময়ের আগেই দ্রুত প্রোডাক্টিভিটির মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। প্রোডাক্টিভিটি সহজেই হচ্ছে মনোযোগ×শারিরীক সক্ষমতা×সময়।দ্বিতীয় অধ্যায়ে ইসলাম এবং প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা মুসলমান হিসেবে আমাদের একমাত্র কাজই হচ্ছে ইবাদত বন্দেগি করা, লেখক এখানে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আমাদের কাজ, অজুহাত, সময় নেই এসব বলা যাবে না। আমাদের সব কিছুকেই ইবাদতের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে, আমরা যেহেতু আল্লাহর হুকুমের দাস সেই হিসেবে আমাদের সমস্ত কর্মকান্ডই হতে হবে ইবাদত নির্ভর।তৃতীয় অধ্যায় স্পিরিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটি। অর্থাৎ আধ্যাত্মিকতা কীভাবে আমাদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ায় সেই হিসেবে, এখানে আমাদের দুনিয়া এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবন একসাথে সংযোগ রেখে কীভাবে চলা যায় সেই কথা বর্ণনা করেছেন। এজন্য কীভাবে আমরা এনার্জি সংগ্রহ করবো এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।চতুর্থ অধ্যায় ফিজিক্যাল প্রোডাক্টিভিটি। সবচেয়ে বড় যে অধ্যায়, যেখানে আমাদের ফিজিক্যাল ফিটনেশ, ডায়েট, নিউট্রিশন সবকিছু নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। কীভাবে ঘুমের মাধ্যমে আমরা একটি ফিটনেস লাইফ কাটাতে পারি, পাওয়ার ন্যাপের প্রয়োজনীয়তা, কম ঘুমালে কী হয়… ইত্যাদি আলোচনা ।তারপর আমাদের শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টি অর্জন, সপ্তাহে দুইদিন রোজা রাখার ফলে কীভাবে আমাদের দেহের ব্যালেন্স রাখা যায়, আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যভাস ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার সবই প্রোডাক্টিভিটির আওতায় এবং তা কীভাবে তা জানতে হলে বইটির এই অধ্যায় মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। ব্যায়াম বা জিম আমাদের জীবনে কতোটুকু দরকার এটাও ইসলাম কীভাবে করতে বলেছে, আমাদের অজুহাত এবং ব্যস্ততাকে তুড়ি মেরে সব ভেস্তে দিয়ে সময় বের করে দেখাবেন।আরও বাকী ৩টি অধ্যায়ে লেখক আলোচনা করেছেন, সোশ্যাল প্রোডাক্টিভিটি, গোল এবং ভিশনের সঙ্গে প্রোডাক্টিভিটির সম্পর্ক, প্রোডাক্টিভ অভ্যাস গঠন এবং ৮ম অধ্যায়ে রমজান এবং প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে আলোচনা করেছেন।কীভাবে রমজান মাসে শতভাগ প্রোডাক্টিভিটি অর্জন করা সম্ভব, রমজানের স্লিপ ম্যানেজম্যান্ট থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় খাদ্য পুষ্টি সবকিছুই এখানে আলোচনা করা হয়েছে, রয়েছে প্রয়োজনীয় রুটিন।সর্বশেষ অধ্যায়ে আছে, মৃত্যু পরবর্তী প্রোডাক্টিভিটি অর্জন। মৃত্যুর পর ৩টি মাধ্যমে আমাদের কবরে নেক আমল যাবে সেটা হলোঃ নেক আমল, দান সদকা, নেক সন্তান। এবং কীভাবে আমাদের দোয়া কবুল করানোর জন্য দোয়া করতে হয়, সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।বইটি সম্পর্কে বলতে গেলে এখানে সবচেয়ে বেশি কোরআন, হাদীস এবং ইসলামের আলোকোজ্জ্বল প্রোডাক্টিভিটির আলোচনা করা হয়েছে। আছে সাইন্টিফিক অনেক ব্যাখা বিশ্লেষণ, বিভিন্ন বড় বড় মোটিভশনাল বইয়েরও কয়েকটা লাইন এখানে উল্লেখ আছে। সবশেষে রয়েছে, বিরাট তথ্য সূত্র।সুতরাং, এই মাস থেকেই নিজেকে প্রোডাক্টিভ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে বইটি এখনই পড়া উচিত, পাশাপাশি বইটি সব ধর্মের মানুষেরই পড়া উচিত। বইয়ের যে আলোচনা করা হয়েছে, তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনেরই অংশমাত্র। -
-
ইসলামের সামাজিক রীতিনীতি
‘আজকাল মানুষ যিকির ও ওজিফাকে আসল মনে করছে, সমাজ-সামাজিকতাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করছে; অথচ এটি ধোঁকা ছাড়া কিছুই নয়।’
—হজরত আশরাফ আলী থানবি (রহ.)
.
দ্বীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি হচ্ছে সামাজিক রীতিনীতি। সমাজে কোথায় কখন কী করতে হয়, কীভাবে বলতে হয়, কার সাথে চলতে হয়, লেনদেনের আদবকেতা, ঘরের মানুষদের সাথে আদবকেতা, ইত্যাদি বিষয় এর অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমাদের আলোচনায় দ্বীনের অন্যান্য বিষয়গুলো এলেও কেন যেন এই বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষিত থাকে। ফলে ভাইয়ে ভাইয়ে শত্রুতা, পারস্পরিক হিংসা বিদ্বেষ, মুসলিমদের ভিতর ঝগড়া বিবাদ, স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ-বিচ্ছেদ সহ নানা ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আর এসব কিছুর মূলে দেখবেন, মানুষের পারস্পারিক আদবকেতা ঠিক নেই। এর অভাবেই পরস্পর মনোমালিন্য ও শত্রুতার সৃষ্টি হয়, যা ভালোবাসা ও সৌহার্দ-সম্প্রীতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
.
আত্মশুদ্ধির ময়দানে হজরত আশরাফ আলী থানবিকে ইমাম গণ্য করা হলেও তিনি ইসলামের সামাজিক রীতিনীতির প্রতি সবথেকে বেশি জোড় দিতেন। বলতেন, ‘জিকির-শোগলের প্রতি আমার দৃষ্টি ততটুকু নয়, সমাজ ও চরিত্র সংশোধনের প্রতি যতটা। কেননা এর সম্পর্ক অন্যের সঙ্গে।’ এই বিষয়ে মানুষ তাঁর কাছ থেকে উপকৃত হয়েছে। হজরতের সেসব ওয়ায নসিহত, লেখনী এবং মালফুজাত নিয়ে ‘ইসলামের সামাজিক রীতিনীতি’ গ্রন্থটি। সমাজের প্রতিটি স্তরে সালামের আদব থেকে শুরু করে বিদায়ের আদব পর্যন্ত মুআশারাতের খুঁটিনাটি প্রায় সবকিছুই এতে স্থান পেয়েছে।
-
Message by Mizanur Rahman Azhari (ম্যাসেজ : আধুনিক মননে দ্বীনের ছোঁয়া)
একটি বাসযোগ্য বসুধা নির্মাণে ইসলাম সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত শাশ্বত প্রেসক্রিপশন; একই সাথে পরকালীন জীবনের চিরস্থায়ী সুখের একমাত্র গ্যারান্টি। সেই প্রেসক্রিপশন তুলে ধরার প্রয়াসের নাম-‘ম্যাসেজ : আধুনিক মননে দ্বীনের ছোঁয়া’।
-
Americay undergrad e Scholarship by (Mamoon Rashid, PhD)
কিছু বই আছে যার সংক্ষিপ্ত বিবরণ লেখা দুষ্কর। এসব বই এতো বেশি তথ্যবহুল হয় যে, সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে কিছুই তুলে ধরা যায় না। তবুও সামান্য প্রচেষ্টা করছি।আগেই বলে নিই, বইটা আন্ডারগ্র্যাড এ ইচ্ছুক স্টুডেন্টদের দিকনির্দেশনার জন্য হলেও এখানের প্রচুর তথ্য হায়ার লেভেল স্টুডেন্টদের অনেক কনফিউশন দূর করতে সক্ষম।>এখানে প্রতিটি স্টেটের কলেজের ধারণা ও বাংলাদেশের সাপেক্ষে তার পর্যালোচনা পাবেন। এতে আমেরিকার পড়ালেখার কনসেপ্ট সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে ওয়াকিবহাল হওয়া যাবে।>স্কলারশিপ পেতে আপনার প্রোফাইল কেমন হওয়া লাগবে বা প্রোফাইল ভ্যালু বাড়ানোর সকল তথ্য পাওয়া যাবে।>পড়ালেখার খরচ কেমন তার পরিস্কার ধারণা পাবেন।>একাডেমিক প্রস্তুতি, এক্সট্রা কারিকুলার প্রস্তুতি, স্কলারশীপের ধরণ, ফিনানশিয়াল এইড ইত্যাদি সম্পর্কে স্বচ্ছ জ্ঞান।>ইয়ার গ্যাপকে কাজে লাগানো, রেকমেন্ডেশন সংগ্রহ, রিসার্চ ট্রেনিং, সিভি তৈরি ইত্যাদি সম্পর্কে সবকিছু জানা যাবে বইটি থেকে।>এসএটি ও ল্যাংগুয়েজ টেস্ট এবং এর প্রস্তুতি, আইডেনটিটি প্রস্তুতি, ফিনানশিয়াল সক্ষমতা, পরীক্ষার ভেন্যু, স্কোর, স্কোর সাবমিট করা, ব্যাকগ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি সকল কিছুর তথ্য ও দিকনির্দেশনা বইতে পেয়ে যাবেন।> আমেরিকায় যাবার পর দরকারী ডকুমেন্টস, স্পন্সর একাউন্ট, টাকা লেনদেন, সেল্ফ ফান্ড, আই-২০ সংগ্রহ, ভিসার ডকুমেন্ট ইত্যাদি আরো হাজারো দরকারী তথ্য বইতে আছে।লেখা দীর্ঘ না করে বলি, উপরের সকল তথ্যের চেয়েও অনেক গুণ বেশি তথ্য বইতে ঠেসে ঢোকানো হয়েছে। সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখার সপ্নে বিভোর প্রতিটি দায়িত্ববান বাবা-মা, সচেতন স্টুডেন্ট, ক্যারিয়ার সম্পর্কে সচেতন প্রতিটি পারসনের জন্য এই ছোট বইটি পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচিত হবার মতো যোগ্যতা রাখে। -
পুণ্যবতী -মহীয়সী নারীদের জীবনের গল্প by আরিফুল ইসলাম
আমাদের নারীরা একত্র হলে তাদের গল্পের প্রধান বিষয়বস্তু হয় নাটক-সিনেমা, হিন্দি সিরিয়ালের কার কোন চরিত্র পছন্দ, কোন পোশাকগুলো ভালো লেগেছে, কার ঘরে কেমন ফার্নিচার-স্বর্ণালংকার আছে, কার স্বামীরা কেমন, কে কোন কোন দেশ ঘুরতে গিয়েছিল, কার ঘরে কী নেই, কে কোন পেরেশানিতে আছে, ইত্যাদি। কথায় আছে, “আমাদের নারীরা একশত টেনশন নিয়ে ঘুমোতে যায়, একটা নিজের, বাকী নিরানব্বইটা পাড়া-প্রতিবেশীর।” আর পরনিন্দা এবং গীবতচর্চা এখন মহামারীর পর্যায়ে। আজকের নারীরা যতজন নায়ক-নায়িকা-মডেলদের চেনে, মহীয়সী নারীদের তার সিকিভাগও চেনে না। এরা তথাকথিত মডেলদের মতো নিজের জীবনকে রঙিন করে সাজাতে চায়, কিন্তু বাস্তব জীবনে সুখের লেশমাত্র নেই। মুক্ত চিন্তার নগ্ন চর্চা আর বাঁধাহীন ডানা মেলে উড়তে গিয়ে পারিবার গুলো আজ ভঙ্গুর। রঙিন স্বপ্নে বিভোর এই নারীদের কোলে তাই জন্ম নেয় না বিশুদ্ধ মানুষ। নিত্যদিনের খুন-ধর্ষণ-পরকীয়া এগুলোর চাক্ষুষ সাক্ষ্য বহন করে। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় আমাদের পূর্বসূরি মহীয়সী নারীদের জীবন থেকে আলো গ্রহণ করে জীবনে এ পবিত্র আলো প্রতিফলিত করা।
.
দ্বীন পাবলিকেশনের অন্যতম উদ্দেশ্য পূর্ববর্তী মহীয়সী নারীদের জীবনী পাঠের মাধ্যমে আমাদের নারীদেরকে আলোকিত করা। এজন্য আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে উম্মুল মুমিনীন সিরিজ দিয়ে। উদ্দেশ্য; জান্নাতী এই নারীদের পরিচ্ছন্ন ও সুরভিত জীবনের মুহূর্তগুলো সরল ভঙ্গিমায় ফুটিয়ে তোলা। তাদের প্রাত্যহিক জীবনের গল্প, নবীজির সাথে মধুর খুনশুটি এবং আখিরাতমুখিতায় তাদের প্রতিযোগিতার কিরণ বর্ণের গাঁথুনিতে বিকীর্ণ করা। যেন এ কালের নারীরা এই আলোয় স্নাত হয়ে ঘরে দীপ্ত করতে পারে জান্নাতের নির্মল আলো।
.
এই বইয়ে যেমন আলোচিত হয়েছে তিন স্বর্ণযুগ স্পর্শ করা নারীদের চিত্র, তেমনি আলোচিত হয়েছে এই উপমহাদেশের মহীয়সী নারীদেরও গল্প। আশা করছি তাদের সংক্ষিপ্ত কিন্তু ঈমানদীপ্ত গল্পগুলো পড়ে আমাদের নারীরা পাথেয় সংগ্রহ করে নিজেদের জীবনকে আলোকিত করতে পারবেন।