fbpx

ম্যাজিক মুনশি – হুমায়ূন আহমেদ Magic Munshi – Humayun Ahmed

৳ 220.00

ফ্রি হোম ডেলিভারি পেয়ে যান মাত্র ১৫০০ টাকার অর্ডারে

ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ
স্যার, আসব ?
আমি চমকে তাকালাম। দরজার সামনে যিনি দাঁড়িয়ে তিনিই যে ম্যাজিক মুনশি তাতে সন্দেহ রইল না। মুখভর্তি দাড়িগোঁফ। মুনশি মাওলানারা দাড়ি রাখেন। গোঁফ রাখেন না। পানি পান করার সময় গোঁফ পানি স্পর্শ করলে পানি নষ্ট (বা হারাম) হয়ে য়ায়, এই কথা প্রচলিত। যদিও হজরত আলী (রাঃ)- এর গালপাট্টা ছিল। গোঁফ ছিল, দাড়িও ছিল।
দরজার সামনে যিনি দাড়িয়ে আছেন তার মাথার চুল গ্রামের বয়াতিদের মতো লম্বা। মধ্যবয়স্ক মানুষ। অত্যন্ত সুপুরুষ। চোখের তারা ঘন কালো। চোখ যক্ষা রোগীর মতো ঝকঝক করছে। তবে মানুষটির যক্ষা নেই। খাকলে খুখখুক কাশি শুনতাম।
মুনশি সাহেব সবুজ রঙের পাঞ্জাবি পরেছেন। নবীজী (দঃ) সবুজ রঙ পছন্দ করতেন। তাঁর মাথার পাগড়ি ছিল সবুজ। ম্যাজিক মুনশির সবুজ পাঞ্জাবির পেছনে নবীজীর (দঃ) পছন্দের রঙ কাজ করতে পারে।
তিন পাঞ্জাবির সঙ্গে লুঙ্গি পরেছেন। লুঙ্গির রঙ ধবধবে সাদা। পায়ে খড়ম। বিশেষ ধরনের খড়ম। ময়মনসিংহ অঞ্চলে এই খড়মকে বলে ‘বউলাওয়ালা খড়ম’ ।
আপনিই কি ম্যাজিক মুনিশি ?

ভূমিকা
‘ম্যাজিক মুনশি’কে কি উপন্যাস বলা যাবে?
উপন্যাস বললে প্রকাশেকের সুবিধা হয়। পাঠকরা উপন্যাস পড়তে পছন্দ করেন। সমস্যা হচ্ছে ‘ম্যাজিক মুনশি’কে কোনো পর্যায়েই ফেলা যাচ্ছে না। ‘ম্যাজিক মুনশি’ হলো রহস্যময়তার বর্ণনা এবং কিছুটা বিশ্লেষণ। উপন্যাসের কাঠামো অবশ্যি ব্যবহার করা হয়েছে।
এই লেখায় আমি কাউকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছি না। আমি নিজে বিভ্রান্ত মানুষ কোনোকালেই ছিনাম না, কাজেই নিজের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার প্রশ্ন আসে না। তবে আমি সচেতনভাবেই জগতের রহস্যময়তার প্রতি ইঙ্গিত করেছি। এই অধিকার আমার আছে।
পাঠকদের প্রতি অনুরোধ, ‘ম্যাজিক মুনশি’ বইটির দু’বার পড়বেন। প্রথমপাঠের অস্পষ্ট বিষয়গুলি দ্বিতীয়পাঠে স্পষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। বইয়ের বর্ণিত কৃষ্ণশক্তি আহবানে ধারেকাছেও কেউ যাবেন না। মানব মস্তিষ্ক অতি বিচিত্র কারণে সাজেশনে বশীভূত। ‘Trance’ অবস্থায় মস্তিষ্কের বিচিত্র কার্যকলাপের দিকে যেতে পারে। অকারণ হেলুসিনেশনের শিকার হওয়া হবে বিরাট মূর্খামি।
হুমায়ূন আহমেদ
নুহাশপল্লী

Share This

Facebook
Twitter
LinkedIn

Description

ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ
স্যার, আসব ?
আমি চমকে তাকালাম। দরজার সামনে যিনি দাঁড়িয়ে তিনিই যে ম্যাজিক মুনশি তাতে সন্দেহ রইল না। মুখভর্তি দাড়িগোঁফ। মুনশি মাওলানারা দাড়ি রাখেন। গোঁফ রাখেন না। পানি পান করার সময় গোঁফ পানি স্পর্শ করলে পানি নষ্ট (বা হারাম) হয়ে য়ায়, এই কথা প্রচলিত। যদিও হজরত আলী (রাঃ)- এর গালপাট্টা ছিল। গোঁফ ছিল, দাড়িও ছিল।
দরজার সামনে যিনি দাড়িয়ে আছেন তার মাথার চুল গ্রামের বয়াতিদের মতো লম্বা। মধ্যবয়স্ক মানুষ। অত্যন্ত সুপুরুষ। চোখের তারা ঘন কালো। চোখ যক্ষা রোগীর মতো ঝকঝক করছে। তবে মানুষটির যক্ষা নেই। খাকলে খুখখুক কাশি শুনতাম।
মুনশি সাহেব সবুজ রঙের পাঞ্জাবি পরেছেন। নবীজী (দঃ) সবুজ রঙ পছন্দ করতেন। তাঁর মাথার পাগড়ি ছিল সবুজ। ম্যাজিক মুনশির সবুজ পাঞ্জাবির পেছনে নবীজীর (দঃ) পছন্দের রঙ কাজ করতে পারে।
তিন পাঞ্জাবির সঙ্গে লুঙ্গি পরেছেন। লুঙ্গির রঙ ধবধবে সাদা। পায়ে খড়ম। বিশেষ ধরনের খড়ম। ময়মনসিংহ অঞ্চলে এই খড়মকে বলে ‘বউলাওয়ালা খড়ম’ ।
আপনিই কি ম্যাজিক মুনিশি ?

ভূমিকা
‘ম্যাজিক মুনশি’কে কি উপন্যাস বলা যাবে?
উপন্যাস বললে প্রকাশেকের সুবিধা হয়। পাঠকরা উপন্যাস পড়তে পছন্দ করেন। সমস্যা হচ্ছে ‘ম্যাজিক মুনশি’কে কোনো পর্যায়েই ফেলা যাচ্ছে না। ‘ম্যাজিক মুনশি’ হলো রহস্যময়তার বর্ণনা এবং কিছুটা বিশ্লেষণ। উপন্যাসের কাঠামো অবশ্যি ব্যবহার করা হয়েছে।
এই লেখায় আমি কাউকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছি না। আমি নিজে বিভ্রান্ত মানুষ কোনোকালেই ছিনাম না, কাজেই নিজের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার প্রশ্ন আসে না। তবে আমি সচেতনভাবেই জগতের রহস্যময়তার প্রতি ইঙ্গিত করেছি। এই অধিকার আমার আছে।
পাঠকদের প্রতি অনুরোধ, ‘ম্যাজিক মুনশি’ বইটির দু’বার পড়বেন। প্রথমপাঠের অস্পষ্ট বিষয়গুলি দ্বিতীয়পাঠে স্পষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। বইয়ের বর্ণিত কৃষ্ণশক্তি আহবানে ধারেকাছেও কেউ যাবেন না। মানব মস্তিষ্ক অতি বিচিত্র কারণে সাজেশনে বশীভূত। ‘Trance’ অবস্থায় মস্তিষ্কের বিচিত্র কার্যকলাপের দিকে যেতে পারে। অকারণ হেলুসিনেশনের শিকার হওয়া হবে বিরাট মূর্খামি।
হুমায়ূন আহমেদ
নুহাশপল্লী

Reviews

There are no reviews yet.

Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.