fbpx

না বলতে শিখুন – ওয়াহিদ তুষার Na bolte shikhun

৳ 240.00

ফ্রি হোম ডেলিভারি পেয়ে যান মাত্র ১৫০০ টাকার অর্ডারে
Category

Share This

Facebook
Twitter
LinkedIn

Description

” ‘না’ বলতে যদি আপনার সংকোচবোধ হয় বা আপনার জন্য ‘না’ বলাটা কঠিন হয় তবে অধিকাংশ সময়ে অন্যের ইচ্ছামতো আপনাকে এমন সব কাজ করতে হবে যা আপনি মন থেকে কিছুতেই করতে চান না। এভাবে যদি ক্রমাগত চলতেই থাকে তবে যেকোনো মানুষের মনে হতাশা বাসা বাঁধতে পারে, যার ফলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বা যেকোনো সম্পর্কই তিক্ত হয়ে উঠতে পারে। আপনি যদি ‘না’ বলতে না পারেন তাহলে আপনার মনে হবে, আপনার নিজের সময় ও জীবনের প্রতি আপনার কোনোরকম নিয়ন্ত্ৰণ নেই ৷
আপনি যখন ‘না’ বলতে সংকোচবোধ করবেন তখন আপনার আশেপাশে এমন পরিস্থিতির সূচনা হবে যেন আপনার কল থেকে পানি পড়ে ঘর ভেসে যাচ্ছে অথচ আপনি কল বন্ধ করতে পারছেন না। যদি কারো অনুরোধের জবাবে আপনি না বলতে চান অথচ ‘না’ এর বদলে যদি আপনার মুখ থেকে ‘হ্যা’ বেরিয়ে যায় তবে আপনার ভেতরে অনেক চাপ ও ক্ষোভ জন্ম নেবে এবং তা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকবে। এতে আপনার শরীরের উপরেও খারাপ প্রভাব পড়তে পারে এবং সর্বপ্রথম মাথা ব্যাথার রূপে সেই প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। ‘না’ বলার অর্থ হলো পানি পড়তে থাকা কলের মুখ বন্ধ করে দেওয়া এবং অতিরিক্ত চাপের দরজা বন্ধ করে দেওয়া। আপনি কী করবেন তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা আপনার নিজের কাছে। আপনি চাইলেই এই ক্ষমতাবলে সময় ও জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন। যদি সরাসরি না বলতে পারেন তাহলে ভেতর থেকে আপনার আত্মবিশ্বাস প্রকাশিত হবে।
যারা ‘না’ বলতে সংকোচবোধ করে তাদের মনে বিভিন্ন ধারণার সৃষ্টি হয়। তারা মনে করে যে ভালো মানুষদের কর্তব্যই হলো অন্যের কাজ করে দেওয়া। আর ‘না’ বলার মানে হলো স্বার্থপরতা। অন্য মানুষেরা তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই তাদের ধারণা কখনই ‘না” বলা উচিত নয়, যদি আমি ‘না’ বলি তবে অন্যরা কষ্ট পাবে, মনক্ষুণ্ণ হবে এবং নিজেরা অপমানিত বোধ করবে, আমাকে পছন্দ করবে না। যদি আপনার মনে এমন ধারণা থেকে থাকে তবে দ্রুতই তা পরিবর্তন করা প্রয়োজন, তা না হলে আপনার বেঁচে থাকাটাই সংকটজনক হয়ে উঠতে পারে।
সাধারণত মানুষের চিন্তাভাবনায় দুটি ভুল ধারণার জন্ম হয় বলেই মানুষ না বলতে দ্বিধাবোধ করে। প্রথম ভুল ধারণা হলো- মানুষের মনে হয় কারো অনুরোধে না বললে তাকে অপমান করা হয়। দ্বিতীয় ভুল ধারণা হলো- মানুষের মনে হতে পারে যে, মানুষজন আপনার ‘না’ এত সহজে মেনে নিতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যদি সঠিক উপায়ে সততার সাথে ‘না’ বলা যায় তাহলে যেকোনো মানুষ খুশিমনে তা মেনে নিতে পারে। অনেক সময় এভাবে সরাসরি ‘না’ বলতে পারলে সম্পর্কের গভীরতাও বৃদ্ধি পায়, কারণ যখন আপনি সততা বজায় রেখে ‘না’ বলেন তখন অনুরোধকারী ব্যক্তিটিও খোলাখুলি নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে এবং ভবিষ্যতেও সে অনুরোধ করার বদলে খোলামনে আপনার সাথে নিজের সমস্যার ব্যাপারে আলোচনা করবে।
প্রথমবার ‘না’ বলতে গিয়ে অনেকেরই একটু আধটু অসুবিধা হতে পারে। কিন্তু চর্চা করতে থাকলে ‘না’ বলার প্রতিভা বিকশিত হতে থাকবে। একেক পরিস্থিতিতে না বলার জন্য একেক রকম কলাকৌশল প্রয়োগের দরকার হয়। এই বইতে কীভাবে ‘না’ বলবেন সে ব্যাপারে অতি সূক্ষ্ম ধারণা দেওয়া হয়েছে এবং সেই সাথে সঠিক উপায়ও বলে দেওয়া হয়েছে, যেগুলো প্রয়োগ করে আপনি দৈনন্দিন জীবনে ‘না’ বলতে সক্ষম হবেন এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে, ফলে আপনার জীবনও আনন্দময় হয়ে উঠবে।

প্রতিনিয়ত মানুষের বিভিন্ন অনুরোধের মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। মানুষকে সহযোগিতা করা ভালো গুণ হলেও সবসময় এমনটা করতে গেলে অনেক সময় নিজেদের প্রয়োজন পূরণ করার মতো সময় আমাদের হাতে থাকে না। এধরণের কাজ প্রতিনিয়ত করতে থাকলে আমরা ধীরে ধীরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পরি। ‘না’ শব্দটি খুবই ছোট ও সহজ হওয়া সত্বেও অধিকাংশ মানুষ না বলাকে অত্যন্ত কঠিন বলে মনে করে। কিন্তু আমরা সবাই জানি যে, যদি ‘না’ বলতে পারি তাহলে জীবনের অনেক জটিলতা থেকেই মুক্তি পেতে পারি। এই বইয়ে বেশ কিছু সফল উপায় বলে দেয়া হয়েছে, যেগুলো নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করে যেকোনো ব্যাক্তি ‘না’ বলার শিল্পে পারদর্শী হয়ে নিজেদের জীবনকে হতাশামুক্ত করে আনন্দময় জীবন উপভোগ করতে পারেন… আপনাকে যদি নিম্নে বর্নিত সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে এই বইটি আপনার জন্য-

◑➤ অফিসে বসের অনৈতিক ইচ্ছা,

◑➤ কর্মস্থলে খারাপ ব্যবহার,

◑➤ জয়েন্ট ফ্যামিলিতে স্বার্থের লড়া,

◑➤ ছোটদের প্রতি বড়দের অনৈতিক শোষণ,

◑➤ বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের অনুচিত দাবি,

◑➤ অন্যের কাছে অসহায় বা বাধ্য হওয়া,

◑➤ সময় আর ক্ষমতার থেকে বেশী কাজের চাপ,

◑➤ এছাড়াও এমন সকল পরিস্থিতি যেখানে আপনি ‘না’ বলতে চান, কিন্তু হ্যা বলে ফেলেন ।”

Reviews

There are no reviews yet.

Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.